শুরু হচ্ছে ভিসা কড়াকড়ি, ১ জুলাই থেকে শেনজেন ভিসায় নতুন জটিলতা
ছবি:সংগৃহীত
এই গ্রীষ্মে ইউরোপ ভ্রমণের পরিকল্পনা থাকলে এবং জার্মান মিশনের মাধ্যমে শেনজেন ভিসার আবেদন করে থাকলে, ভ্রমণপ্রত্যাশীদের জন্য পরিস্থিতি কিছুটা জটিল হতে পারে। কারণ, আগামী ১ জুলাই ২০২৫ থেকে ভিসা প্রত্যাখ্যানের ক্ষেত্রে আর আপিল বা ‘রিমন্সট্রেশন’ করার সুযোগ থাকছে না।
জার্মানির ফেডারেল ফরেন অফিস ঘোষণা দিয়েছে, বিশ্বের সব দেশে ভিসা প্রত্যাখ্যানের বিরুদ্ধে রিমন্সট্রেশন প্রক্রিয়া স্থায়ীভাবে বাতিল করা হচ্ছে। এর ফলে, কোনো আবেদন প্রত্যাখ্যান হলে, আবেদনকারী সেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানাতে পারবেন না।
রিমন্সট্রেশন কী?
এটি একটি প্রশাসনিক আপিল প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে ভিসা প্রত্যাখ্যাত কেউ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পুনরায় পরীক্ষা ও মূল্যায়নের অনুরোধ করতে পারতেন। সাধারণত, রিফিউজাল চিঠি পাওয়ার এক মাসের মধ্যে এই আবেদন জমা দেওয়ার সুযোগ থাকত।
কেন এই সিদ্ধান্ত?
জার্মান মিশন জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ১ জুন থেকে বিভিন্ন ভিসা সেকশনে পরীক্ষামূলকভাবে রিমন্সট্রেশন স্থগিত রেখে একটি পাইলট প্রকল্প চালানো হয়। এতে দেখা যায়, এই প্রক্রিয়া বাতিলের ফলে নতুন ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াকরণে কর্মীদের আরও সময় ও সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে একই সময়ে আগের বছরের তুলনায় বেশি সংখ্যক আবেদন নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়েছে এবং অপেক্ষার সময় কমেছে।
তাহলে কি আর কোনো উপায় নেই?
শেনজেন ভিসা কী?
শেনজেন ভিসা হলো একটি স্বল্পমেয়াদি ভিসা, যা একজন অ-ইউরোপীয় নাগরিককে শেঙ্গেন অঞ্চলের ২৯টি দেশে (২৫টি ইইউ সদস্য ও আইসল্যান্ড, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড এবং লিচটেনস্টাইন) ১৮০ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯০ দিন অবস্থানের অনুমতি দেয়।
পর্যটনপ্রেমীদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন, যা ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায় নতুন কৌশল এবং পরিকল্পনা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তৈরি করেছে।
সব আশা শেষ হয়ে যায়নি। আপিল না করতে পারলেও, আবেদনকারী নতুন করে ভিসার জন্য আবার আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও, জার্মানির পরিবর্তে শেনজেন অঞ্চলের অন্য কোনো দেশ থেকেও ভিসা আবেদন করা যাবে। তবে সেক্ষেত্রে যাত্রাপথ বা ভ্রমণ পরিকল্পনায় কিছুটা পরিবর্তন আনতে হতে পারে, যেমন, ওই দেশ থেকে যাত্রা শুরু বা শেষ করা, অথবা সেখানে বেশি সময় অবস্থান করা।
Post a Comment