দিনে এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতির ঘোষণা সচিবালয়ে আন্দোলনকারী কর্মচারীদের
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত কর্মচারীরা আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন।
আন্দোলনকারী সংগঠন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা–কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নেতারা আজ বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়ে বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের সব দপ্তরের কর্মচারীদের এ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
তবে এই সংবাদ সম্মেলনে ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বাদীউল কবীর জানিয়েছেন তারা নতুন আইনটি বাতিলের একটি ‘মোটামুটি সবুজসংকেত’ পেয়েছেন।
“আশা করি আলোচনার ভিত্তিতে যে ফল আসবে তাতে কর্মচারীরা সন্তুষ্ট হবেন,” বলছিলেন তিনি।
সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলমান থাকার কারণে আজ বুধবার আন্দোলনকারীদের কোনো কর্মসূচি ছিল না। এ নিয়ে মঙ্গলবার তারা ভূমি সচিবের নেতৃত্বে সরকারি একটি দলের সাথে আলোচনা করেছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ সংশোধন করে নতুন অধ্যাদেশ অনুমোদনের পর গত রোববার গেজেট আকারে জারি হয়। এর আগে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর থেকেই কর্মচারীরা এটি বাতিলের দাবিতে মিছিল সমাবেশ করে আসছে।
নতুন করা এই অধ্যাদেশটিতে চারটি বিষয়কে অপরাধের আওতায় এনে তিনটি শাস্তির কথা বলা হয়েছে। এগুলো হলো বরখাস্ত, অব্যাহতি এবং বেতন ও পদের গ্রেড কমিয়ে দেয়া।
যেসব অপরাধের জন্য শাস্তি দেয়া যাবে সেগুলো হলো- অনানুগত্য দেখানো ও কাজে বাধা দেয়া, একক বা সমবেতভাবে কাজে অনুপস্থিত থাকা, কাউকে কাজ থেকে বিরত থাকতে উসকানি দেয়া এবং কাউকে কাজ করতে বাধা দেয়া।
অধ্যাদেশের সরকারি কর্মচারীদের আচরণ ও দণ্ড সংক্রান্ত বিশেষ বিধান সংক্রান্ত ধারায় বলা হয়েছে- কোনো সরকারি কর্মচারী যদি এমন কোনো কাজে লিপ্ত হন যা অনানুগত্যের শামিল বা যা অন্য কোনো কর্মচারীদের মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা কাজে বাধা তৈরি করে তাহলে সেটি হবে একটি অসদাচরণ।
Post a Comment